Life, Luck, Love!


Life, Luck, Love: Such three mystery!

হুট করেই রাতে এই তিন L আদ্যাক্ষরের শব্দের মিল খুঁজে পেলাম। তিনটার কোনোটাই আমাদের হাতে নেই। চাইলেই মৃত থেকে বেঁচে ওঠা যায় না। কিংবা হুট করে বিষাদে আক্রান্ত হয়ে মরে যাওয়া যায় না। সাহস চাই। চাইলেই ভাগ্যকে বদলে ফেলা যায় না। যায় না হুট করে ভালোবাসা পাওয়া। বিধাতাপ্রদত্ত এই তিনটে জিনিসই যার আছে, তাকে সৌভাগ্যবান বললেও কম বলা হয়ে যায় হয়ত।

আমি? সৌভাগ্যবান? জানি না।

কথাপ্রসঙ্গে ভাগ্যের বিষয়টা উঠল। ইদানিং বদ্ধমূল ধারণা হয়েছে আমি খুব খারাপ। নিষ্ঠুর। হৃদয়হীন। স্বার্থপর। না-বাচক সব বিশেষণই আমার জন্যে প্রযোজ্য। বিপরীতে উত্তর আসে, ‘না, সৌভাগ্যবান’। খারাপ মানুষেরা সৌভাগ্যবানই হয়।

ভাগ্য শব্দটা কে প্রথম আবিষ্কার করেছিল জানি না। আমাদের সাফল্য ব্যর্থতা, সুখ দুঃখ, ঘটনা দুর্ঘটনা- সবকিছুই কি ভাগ্য দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়? কেউ বলে, কাকতালীয়। তবুও কেন আমরা ভাগ্য নামক বিষয়টায় বিশ্বাস করি? জানা নেই।

কেউ বলে, দুর্বলরাই ভাগ্যে বিশ্বাস করে। কিন্তু ধরো, প্রচণ্ড পরিশ্রমী একজন যখন খেটেখুটে আবিষ্কার করল, তার পরিশ্রম বৃথা? এটা কি ভাগ্য? না কাকতালীয়? জানি না। কিচ্ছু জানি না।

এক ছোট ভাই, আহনাফ। রেসিডেন্সিয়ালে পড়ে। প্রচণ্ড মেধাবী। বলা চলে, বিধাতা তাকে দু হাত ভরে দিয়েছেন। অন্তত আমি তাই বলব। কিন্তু সে এখন লিউকেমিয়ার সাথে লড়ছে। এটা কি ভাগ্য না দুর্ভাগ্য? প্রতিবার আহনাফদের মত মানুষদের দেখি, আর স্থির সিদ্ধান্তে পৌছে যাই। জীবন কি তুচ্ছ, কি অসহায়!

আমার ব্লগে অসংখ্যবার এই কথাটা আমি বলেছি। জীবনের তুচ্ছতাকে আবিষ্কার করেছি বারংবার। জীবনের অসহায়তার মাত্রাধিক্যে বিস্মিত হয়েছি। এত কর্মযজ্ঞ, এত সাধনা, এত পরিশ্রম, এত অনুভূতি – সব তবে বৃথা? সব এই ভাগ্য নামক অদৃশ্যের হাতে বন্দি? এই তুচ্ছ জীবনের কি মানে?

জানা নেই। জানা নেই।

ভালোবাসার স্থায়িত্বও তো মহাকালের হিসেবে ন্যানোসেকেণ্ড মাত্র। মায়াটুকু থেকে যায় কেবল। ভালোবাসা আর মায়ার মাঝে পার্থক্য কী? প্রকাশিত আর অপ্রকাশিত? হতে পারে। আমি তাই ভাবি।

আমার সামাজিকতার দক্ষতা প্রায় শূন্যের কোঠায়। অধিকাংশ মানুষের সাথে মিশতে গিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগি। তবে অল্প কথাতেই বেশ বন্ধুতা গড়ে ওঠে। কিন্তু মাঝে কেমন একটা দেয়াল উঠে যায়। ফলে, ১০০ জনের মাঝে ৯৯ জনের সাথে সম্পর্ক মাঝামাঝি প্রকৃতির হলেও সত্যিকার অর্থে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে না। দশ বছর একসাথে চেনা পরিচিত মানুষের সাথেও যেমন সম্পর্ক, দু মিনিট আগে একটু কথাবার্তা বলা মানুষের সাথেও তেমন সম্পর্ক। দেয়ালটা কেউ টপকাতে পারে না। একজন ছাড়া কাউকেই দেখলাম না টপকাতে পারতে।

না পারাই ভালো। আমার মাঝে নিষ্ঠুর এক হৃদয়হীন মানুষের বাস। সেধে পড়ে নিষ্ঠুরতায় আহত হতে দিতে চাই না কাউকে।

সময় বয়ে যাচ্ছে দ্রুত। সেদিন মাত্র কলেজের আঙ্গিনায় পা রাখলাম, আর দিনকয়েক আগে শেষ ক্লাস করে এলাম। অনুভূতি নেই। দশ বছর কাটিয়ে আসা উদয়নের জন্যে কোনো অনুভূতি হয় না, আর দেড় বছরের এই কলেজের জন্যেই বা কেন হবে? তবে হ্যা, ম আদ্যাক্ষরের মেয়েটা সত্যিকার বন্ধু হয়ে উঠতে পারত। তবে আমি কি না নিতান্তই একঘেয়ে প্রকৃতির মানুষ। বইপত্রে ডুবে থাকি। প্রাচীরটা অভেদ্য হয়ে ওঠে ক্রমশ।

আর লিখতে ইচ্ছে করছে না। এখানেই শেষ হোক।

আহনাফের জন্যে ফেসবুকে একটা ইভেন্ট খোলা হয়েছে। লিঙ্ক- https://www.facebook.com/events/550476628354796/

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান