এইসব দিন


বাচ্চারা খুব দ্রুত বড় হয়ে যায়। লিয়ানা এখন দেড় বছরের একটু বেশি বয়সী। বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে আমার আবেগ অনুভূতি তেমন তীব্র নয়। সামনে পরীক্ষা দেখে গতকালকে তাকে আর তার বাবাকে তার ফুপুর বাসায় পাঠালাম একরকম ঠেলেই, এই ভেবে যে একটু পড়তে পারবো।

অথচ যাওয়ার পরে পুরোটা সময় শুনশান বাসায় এটা সেটা গুছিয়ে সাজিয়ে পরিষ্কার করে বেড়ালাম। মন বসলো না পড়ায়।

মানুষ বলে, মায়ের মন৷ আমার সবসময়ই মনে হয়, আমি ঠিক লিয়ানার সাথে কানেক্ট করতে পারি না, যেমনটা মাসুম পারে। লিয়ানার তাতে ভ্রূক্ষেপ নেই। মা কি কেউ একেবারে পরদিনই হয়ে যায়? জানি না! আমার তো মনে হয়, মেয়েরা আস্তে আস্তে মা হয়ে ওঠে।

নিজেকে বোঝাই, এই সময়টা আর ফিরবে না। বাচ্চাটাকে সময় দাও। কিন্তু আদৌ কি সেই সুযোগ আছে?

আহা, জীবন এত ছোট কেন!

লিয়ানাকে যখন, আচ্ছা, তখন তার নাম ঠিক করা হয়েছিল, শামা- শাহরিনার শা, মাসুমের মা- যাহোক, যখন বের করে মুখের কাছে আনা হলো, আমার প্রথম মনে হলো, নাকটা এত বোঁচা কেন! 😅 এখন সেই দিব্যি বোঁচা নাক দিয়ে দিনরাত নাকে ঘষাঘষি করে যাচ্ছে! দুইবার করে চুল ফেলে দিলাম। এখন রোজ চুল বেঁধে দিতে চিরুনি আর রাবার নিয়ে ঘুরি- সে দিব্যি ছুট! বাবার মতো চঞ্চল আর দুষ্টুমিভরা হাসি দিয়ে বাড়ি মুখর করে রাখছে।

সময় পার হয়েই যায়।

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান