মাঝেমধ্যে মনে হয়, একটা জীবন পার হয়ে গেল কিছুই না করে, কিছুই না দেখে।
– অন্যের জন্যে বেঁচে থেকে?
হয়তো।
– তুমি তো বেঁচেই আছো অতিরিক্ত কিছু সময় নিয়ে।
হয়তো সেটা নিজের জন্যে বাঁচা যেতো। একান্ত নিজের জন্য, নিজের মতো করে..
– সেটা স্বার্থপরের জীবন।
স্বার্থপরতাকে এত হীনভাবে দেখার কী আছে বলো? আমরা সবাই কম বেশি স্বার্থপর..
– কিন্তু শব্দটাই নেতিবাচক, অপ্রত্যাশিত, অনাকাঙ্ক্ষিত।
তবুও, হয়তো সুখী হতে পারতাম। নিজের মতো করে বেঁচে থেকে, নিজের ইচ্ছেপূরণ করে, ইচ্ছে হলে হুট করে চাকরি ছেড়ে দিয়ে ৬ মাস বইয়ে ডুবে যেতে পারতাম..সব ব্যাকগ্রাউন্ড নয়েজ বন্ধ করে দিয়ে..আকাশসীমা অতিক্রমের ইচ্ছেপূরণ করতে পারতাম।
– সময় তো ফুরোয়নি।
ফুরোচ্ছে। সেই সাথে ফুরোচ্ছে মনের জোর, মস্তিষ্কের তীক্ষ্মতা, স্মৃতি..
– আর?
একসময়ে যা কিছুর আকাঙ্ক্ষা ছিল, সেসব ঝাপসা হয়ে অপ্রাপ্তি আর অধরাগুলোই মুখ্য হয়ে যাচ্ছে। সবকিছুকে মূল্যহীন মনে হচ্ছে। আর মনে হচ্ছে..
– কী?
আমি অনেকদিন মন থেকে হাসি না। কাঁদি না। মন থেকে তীব্র আনন্দ অনুভব করিনি অনেকদিন। সবকিছু খুব ছকবাঁধা, সেই ছকবাঁধা খোপের একটা ঘরে আমিও আটকে আছি, মুক্তি নেই..
– চাইলেই মুক্ত হওয়া যায়।
চাওয়া থেকেই তো এত জটিলতা! ঈশ্বর যদি চাওয়া-প্রত্যাশা-আকাঙ্ক্ষা-ইচ্ছের মতো বিষাক্ত অনুভূতিগুলো আমার মন থেকে মুছে দিতেন!